ডেস্ক নিউজ :
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আগামী ৭ অক্টোবর মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ একর্মসূচি দেয়া হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ.ব.ম. মোস্তাফা আমীন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও.ম. শফিক উল্ল্যাহ, মোস্তাক আহমেদ, নুরুল হুদা মিনু চৌধুরী, হারুনুর রশিদ তালুকদার, এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ড. হেলেনা বুলবুল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বহু ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও দেশের মালিক জনগণ এখন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশ থেকে সরকারকে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকার গঠনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে সংবাদ সম্মেলনে জানান হয় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া দেশের মালিক জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে এবং সংবিধানে বিধৃত নাগরিক অধিকারের আওতায় অহিংস পদ্ধতিতে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে দাবি পূরণে বাধ্য করবে।
এতে আরো বলা হয় হিংসা-বিদ্বেষ, গুম-খুন, প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির কারণে এখন দলীয় সরকারের অধীনে জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কেননা সংবিধানে বলা আছে দেশের মালিক জনগণ। জনগণ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা দেশ পরিচালনা করবে। ভোট না থাকা মানে জনগণ দেশের মালিকও নয়। দেশের মালিক জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার একক দায়িত্ব সরকারের। জনগণের জানমাল সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বও সরকারের। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সাথে সংলাপের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যমত্য সৃষ্টি করে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবী পূন:ব্যক্ত করছে। সরকার এ দাবী পূরণে ব্যর্থ হবার কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা হলে, নাগরিকদের জানমাল, সম্পদের ক্ষতি হলে, সমাজে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হলে সকল দায় দায়িত্ব এককভাবে সরকারকে বহন করতে হবে।
দেশের মালিক জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার একক দায়িত্ব সরকারের। জনগণের জানমাল সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বও সরকারের। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সাথে সংলাপের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যমত্য সৃষ্টি করে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবী পূন:ব্যক্ত করছে। সরকার এ দাবী পূরণে ব্যর্থ হবার কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা হলে, নাগরিকদের জানমাল, সম্পদের ক্ষতি হলে, সমাজে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হলে সকল দায় দায়িত্ব এককভাবে সরকারকে বহন করতে হবে।
পাঠকের মতামত: